Sunday, July 30, 2017

নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যবহার করুণ সিসিটিভি ক্যামেরা

optimationbd.com

আমাদের দেশের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি যথাযথভাবে কাজ করিতেছে না, ইহার ফুটেজ অস্পষ্ট ইত্যাদি অভিযোগ করা হইতেছে দীর্ঘদিন ধরিয়া। কিন্তু ইহা সর্বাংশে সত্য নহে। সম্প্রতিকালে দেশে দুইটি স্মরণকালের মর্মান্তিক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়াছে। তাহার একটিতে দেখা যায়, সিসিটিভি ক্যামেরায় স্পষ্টভাবে অপরাধীর ছবি ভাসিয়া উঠিয়াছে। ইহার পর তাহাদের সঠিকভাবে শনাক্ত করাও সম্ভব হইয়াছে। কিছু ভেজাল ও নিম্নমানের সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কারণে অতীতে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায় নাই। তবে এখন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হইতেছে। ফলে পাওয়া যাইতেছে কার্যকর ফল। জানা যায়, এক সপ্তাহের মধ্যে রাজধানী ঢাকার সার্বিক নিরাপত্তা চিত্র বদলাইয়া যাইবে। সমগ্র এলাকাকে আনা হইবে সিসিটিভির আওতায়। ইতোমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৩-৬ মেগা পিক্সেল উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হইয়াছে।  যে কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ক্যামেরাগুলি বিশেষ ফোকাসের মাধ্যমে ক্যাপচার করিতেছে স্পষ্ট ইমেজ। কোথাও কোনো ঝামেলা হইলে বা লোক সমাগম বেশি হইলে মনিটরিং সেলে প্রদান করিতেছে সংকেতবার্তা। এইসব শক্তিশালী সিসি ক্যামেরা অন্ধকার ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়াতেও স্পষ্ট ছবি ক্যাপচার করিতে সক্ষম। ইহাছাড়া কিছু ক্যামেরা রাস্তায় চলাচলরত যানবাহনের নম্বর প্লেটের ছবি ক্যাপচার ও সংরক্ষণ করিতেও পারঙ্গম। ক্যামেরাগুলি প্রায় দুই মাস সময়কালের সব ফুটেজ সংরক্ষণ করিতে পারে। আলাদা ইউপিএস সিস্টেম থাকায় বিদ্যুত্ সংযোগ না থাকিলেও এই ক্যামেরাগুলি তিন ঘণ্টার ব্যাকআপ দিতেছে।

চুরি-ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও শনাক্তকরণে আজকাল প্রযুক্তির উপর মানুষের নির্ভরতা বাড়িতেছে। প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করিতে কয়েক বত্সর ধরিয়া নিজস্ব ও সরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত নিরাপত্তার অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হইয়া দাঁড়াইয়াছে এই ক্লোজড-সার্কিট টেলিভিশন বা সিসিটিভি ক্যামেরা। কার্যকর বিধায় উন্নত বিশ্বের মতো বর্তমানে বাংলাদেশেও এই প্রযুক্তিপণ্যটির চাহিদা ও কদর বাড়িয়া চলিয়াছে। ফলে সমপ্রসারিত হইতেছে ইহার বাজার। বর্তমানে ব্যাংক-বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট অফিস হইতে শুরু করিয়া নিজস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, এমনকি বাসা বাড়িতেও নিরাপত্তা সুরক্ষার অবলম্বন এখন এই সিসিটিভি ক্যামেরা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নিরাপত্তার প্রয়োজনে এখন রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও মহাসড়কে স্থাপন করিতেছে এই যন্ত্রটি।

১৯৪২ সালে জার্মানিতে প্রথম সিসিটিভি ব্যবহূত হয়। জার্মানির ভি-২ রকেট উেক্ষপণের দৃশ্য ধারণ করিতে একটি কারিগরি পদ্ধতি হিসাবে ইহার ব্যবহার শুরু হয়। বাণিজ্যিকভাবে ইহার ব্যবহার শুরু হয় চল্লিশের দশকের পর হইতে। যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধ ঠেকাইতে প্রথম সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয় ১৯৬৮ সালে নিউইয়র্কের অলিনের রাস্তায়। ১৯৭৩ সালে টাইমস স্কোয়ারেও বসানো হয় এই ক্যামেরা। আধুনিক সিসিটিভিতে ক্যামেরার সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার করায় সরাসরি পর্যবেক্ষণ সম্ভব হইতেছে। বর্তমানে রিয়েল টাইম সার্ভিলেন্স মনিটরিং ব্যবস্থার নামে আরও উন্নত প্রযুক্তির প্রচলন হইয়াছে।  ইহার ভিত্তিতে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হইতেছে। এমনকি আজকাল নিজের স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেট হইতেও নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করা সম্ভব। অতএব, এই ব্যাপারে আমাদের সকলের সচেতন হইতে হইবে। অফিস-আদালত, পাড়া-মহল্লা, বাসাবাড়ি সর্বত্র ইহার ব্যবহার বাড়াইতে হইবে। এই ক্যামেরার ব্যবহার বাড়িলে দামও সকলের হাতের নাগালে চলিয়া আসিবে বলিয়া আশা করা যায়।




আমরা দিচ্ছি আপনাকে ১০০% সঠিক পণ্যের নিশ্চয়তা।
যেকোন তথ্য ও পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুণ আমাদের সাথে।
মোবাইলঃ 01614000401
ওয়েবসাইটঃ www.optimationbd.com
 


No comments:

Post a Comment